Type a search term to find related articles by LIMS subject matter experts gathered from the most trusted and dynamic collaboration tools in the laboratory informatics industry.
গঠিত | ১৯৮৫ |
---|---|
প্রতিষ্ঠাতা | রবার্ট মেনার্ড, রেমি লরি, জ্যাক মোলেনাত এবং এমিলিয়েন জুবিনিউ |
ধরন | অলাভজনক সংগঠন, বেসরকারি সংস্থা |
সদরদপ্তর | প্যারিস, ফ্রান্স |
মহাপরিচালক | ক্রিস্টোফ ডেলোয়ার (২০১২ সাল থেকে) |
বাজেট | ৬ মিলিয়ন ইউরো (আরসএফ ফ্রান্স) |
ওয়েবসাইট | rsf |
রিপোর্টারস উইদআউট বর্ডার্স (RWB; ফরাসি: Reporters sans frontières;RSF) হল একটি আন্তর্জাতিক অলাভজনক এবং বেসরকারি সংস্থা যা তথ্যের স্বাধীনতার অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে৷ এটি মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণার ১৯ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করে ও সীমান্ত ছাড়িয়ে তথ্য সংগ্রহের অধিকারকে সমর্থন করে। [১] জাতিসংঘ, ইউনেস্কো, ইউরোপ কাউন্সিল এবং ফ্রাংকফনির আন্তর্জাতিক সংস্থায় আরএসএফের পরামর্শমূলক মর্যাদা রয়েছে।[২]
আএএসএফ প্রতি বছর দেশ অনুযায়ী সাংবাদিকদের অবস্থা তুলে ধরতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচক প্রকাশ করে থাকে। আরএসএফ তালিকাটি ২০০২ সাল থেকে সংকলন ও প্রকাশ করে আসছে। প্রতিটি তালিকা পূর্ববর্তী বছরে বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যমসমূহের স্বাধীনতার অবস্থা সম্পর্কে সংগঠনটির নিজস্ব মূল্যায়নের ভিত্তিতে সংকলন করা হয়। প্রতিটি দেশে সাংবাদিক, সংবাদ সংগঠন ও সংস্থা, ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মত প্রকাশের ও সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতার মাত্রা এবং জাতীয় কর্তৃপক্ষসমূহ এই স্বাধীনতাকে সম্মান করার জন্য কী কী প্রচেষ্টা হাতে নিয়েছে, সেই ব্যাপারগুলির প্রতিফলন ঘটানোর উদ্দেশ্যে তালিকাটি নির্মাণ করা হয়। আরএসএফ "ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তি" ও সাংবাদিকদের রক্ষায় এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও তথ্যের অধিকার রক্ষার জন্য সরকারী ও আন্তর্জাতিক ফোরামের সর্বোচ্চ স্তরে কাজ করে। এটি ফরাসি, ইংরেজি, স্প্যানিশ, পর্তুগিজ, আরবি, ফার্সি এবং চীনা ভাষায় সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার উপর হুমকির উপর দৈনিক ব্রিফিং এবং প্রেস রিলিজ প্রদান করে। এটি প্রতি বছর সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচক প্রকাশ করে, যেখানে ১৮০ টি দেশের সংবাদমাধ্যমের বার্ষিক অবস্থা তুলে ধরা হয়। সংগঠনটি ঝুঁকিতে থাকা সাংবাদিকদের ডিজিটাল ও ভৌত নিরাপত্তার প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপব্যবহারের বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে এবং তাদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য প্রচারণা চালায়। আরএসএফ গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সমর্থনে আইন গ্রহণের জন্য সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে তদবির করে এবং হুমকির মুখে থাকা সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইনি পদক্ষেপ নেয়।[৪] এছাড়াও, আরএসএফ কাজ করার সময় নিহত সাংবাদিকদের বার্ষিক সংখ্যা প্রকাশ করে।
আরএসএফ ফ্রান্সের মন্টপেলিয়ারে ১৯৮৫ সালে রবার্ট মেনার্ড, রেমি লরি, জ্যাক মোলেনাট এবং এমিলিয়েন জুবিনেউ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি ১৯৯৫ সালে একটি অলাভজনক সংস্থা হিসাবে নিবন্ধিত হয়েছিল। [৫] মেনার্ড ছিলেন আরএসএফের প্রথম মহাসচিব, তার স্থলাভিষিক্ত হন জিন-ফ্রাঙ্কোস জুইলার্ড। ক্রিস্টোফ ডেলোয়ার ২০১২ সালে মহাসচিব হিসেবে নিযুক্ত হন ও তিনি বর্তমানে এ দায়িত্ব পালন করছেন।[৬]
আরএসএফের প্রধান কার্যালয় প্যারিসে অবস্থিত। ব্রাসেলস, লন্ডন, ওয়াশিংটন, বার্লিন, রিউ দি জানেইরু, তাইপে এবং ডাকার সহ সারাবিশ্বে এটির ১৩টি আঞ্চলিক ও জাতীয় অফিস এবং ১৪৬ জন প্রতিনিধি রয়েছে। [৭] প্যারিসে এটির ৫৭ জন বেতনভোগী কর্মচারী রয়েছে। [৮] আরএসএফ এর সদস্যদের মধ্য থেকে নির্বাচিত গভর্নর বোর্ড সংগঠনটির নীতি অনুমোদন করে থাকে। [৯]